লাইভ | ঘূর্ণিঝড় আম্পান সরাসরি অবস্থান | 10 ফুট জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা | Cyclone Amphan Live
এই ভিডিওটিতে স্যাটেলাইট থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ‘ঘূর্ণিঝড় আম্পান’ এর সরাসরি অবস্থান দেখতে পাচ্ছেন।
আজ বিকাল বা সন্ধার মধ্যে ঘূর্ণিঝড় আম্পান সুন্দরবনের কাছ দিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৮৫ কিমির মধ্যে বর্তমানে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ২০০ কিমি, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২২০ কিমি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে উপকূলীয় অঞ্চলে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১০ ফুটের বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমকালে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও চট্টগ্রাম জেলা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিসহ ঘণ্টায় ১৪০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
#Amphan #Cyclone Amphan live Update #cyclone #Cyclone Amphan #ঘূণিঝড় আম্ফান #ঘূর্ণিঝড় #ঘূণিঘড় আম্ফান লাইভ আপডেট #Cyclone Amphan Live
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় আম্পান বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের দিকে ছুটে আসছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের রাত ৯ টার বুলেটিন অনুযায়ী সুপার সাইক্লোন আম্পান উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে।
আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বুধবার ২০ মে ২০২০ বিকাল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে সুন্দরবনের পাশ দিয়ে এটি পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
সেসময় ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের ৮৫ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ২২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে বলে জানানো হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত বহাল রাখা হয়েছে। তবে বুধবার সকালে মহাবিপদসঙ্কেত দেয়া হতে পারে।
উপকূলীয় জেলাগুলো থেকে মানুষজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়ার কাজ চলছে। বাংলাদেশ সময় রাত দশটা পর্যন্ত প্রায় ৪ লাখ ৫৩ হাজার মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে। সরকার বিশ লাখ মানুষকে ১২,০৭৮টি আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেবার লক্ষ্যে কাজ করছে।
মানুষ যেহেতু শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চায়, তাই রাত বারোটার পর আরও মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়া সম্ভব হবে বলে কর্মকর্তারা আশা করছেন।
বাংলাদেশ নৌবাহিনী জানাচ্ছে জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় চট্টগ্রাম, খুলনা ও মংলা নৌঅঞ্চলে নৌবাহিনীর ২৫টি জাহাজ প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে কয়েক লক্ষ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে বলে সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে।
জাতীয় ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবেলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। আশংকা করা হচ্ছে সবচেয়ে বড় আঘাত আসতে পারে দক্ষিণ ২৪ পরগণা ও পূর্ব মেদিনীপুরে।
ভারতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের হিসাব অনুযায়ী দক্ষিণ ২৪ পরগণার আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে সরিয়ে নেয়া হয়েছে এলাকার দুই লাখ মানুষকে।
ভারতের আবহাওয়া বিভাগের পশ্চিমবঙ্গের আঞ্চলিক দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী বাপক জলোচ্ছ্বাস হতে পারে এবং ঢেউয়ের উচ্চতা ৪ থেকে ৫ মিটার হতে পারে এবং ১১ বছর আগে আইলার সময় যে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল এবারেও তেমনটা হতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে ।
মঙ্গলবার বিকেলে টুইট করে তারা আরও জানায়, ২০শে মে বুধবার বিকেল থেকে সন্ধ্যার মধ্যেই এই 'ল্যান্ডফল' ঘটবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সুন্দরবনের মোটামুটি এক তৃতীয়াংশ ভারতের দিকে, আর বাকি দুই তৃতীয়াংশ বাংলাদেশের ভূখন্ডে। ফলে দুই দেশের সীমান্তের কাছাকাছি কোনও এলাকা দিয়েই এই ঘূর্ণিঝড়টিআঘাত হানবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
উপকূলে আছড়ে পড়ার সময় এর হাওয়ার বেগ হবে ঘন্টায় ১৫৫ থেকে ১৬৫ কিলোমিটার – পরে যার তীব্রতা বেড়ে ঘন্টায় ১৮৫ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে।
মানুষজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেবার কাজ চলছে।
ভিডিওতে দেখুন বাংলাদেশে উপকূলীয় জেলাগুলোর চিত্র।
নূর ইসলাম খান
ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির অপারেশন বিভাগের পরিচালক
তিনি বলছেন যে মানুষরা আসবে, তাদের মধ্যে দুই-একজন করোনা আক্রান্ত থাকতেও পারে। সেরকম হলে তাদের ঠিকমতো পরীক্ষা করা, তাপমাত্রা দেখা - এই বিষয়গুলো তাদের কাছে ''ভীষণ চ্যালেঞ্জিং'' হয়ে দাঁড়াবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর তাদের সর্বশেষ বুলেটিনে জানিয়েছে এটি আজ বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৮৫ কি.মি.দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৪০ কি.মি.দক্ষিণপশ্চিমে, মংলাসমুদ্রবন্দর থেকে ৬৭০ কি.মি.দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৬৬৫ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।
আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আম্পান খুলনা ও চট্টগ্রামের মধ্যবর্তী অঞ্চল দিয়ে ২০শে মে ২০২০ বিকাল/সন্ধ্যার মধ্যে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে ।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৮৫ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ২০০ কি.মি. যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২২০ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
জানানো হয়েছে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে অতিসত্ত্বর নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’পরবর্তী জরুরি উদ্ধার, ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ২৫টি জাহাজ, মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট ও হেলিকপ্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে আইএসপিআর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।
বাংলাদেশ নৌবাহিনী যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় চট্টগ্রাম, খুলনা ও মংলা নৌঅঞ্চলে নৌবাহিনীর ২৫টি জাহাজ প্রস্তুত রেখেছে বলে জানিয়েছে।
সেইসাথে খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুরসহ উপকূলীয় দূর্গত এলাকাগুলোতে মোতায়েনের জন্য নৌ কন্টিনজেন্ট প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
পরিস্থিতি বিবেচনায় দুর্গত এলাকাগুলোতে জরুরি চিকিৎসা সহায়তার জন্য বিশেষ মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেছেন আজ রাত ৮টার মধ্যে এই বিশ লাখ মানুষকে ১২ হাজার সাইক্লোন শেল্টারে সরিয়ে নিয়ে যাবার কাজ সরকার শুরু করেছে।
তবে অন্যান্য কর্মকতারা বলছেন এখনও পর্যন্ত হাজার পাঁচেক মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়া সম্ভব হয়েছে।
বুধবার সকাল থেকে সকলকে ঘরে থাকার নির্দেশ মমতা বানার্জির
ভারতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি কিছুক্ষণ আগে শেষ হওয়া সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন ঘূর্ণিঝড় আম্পান দক্ষিণ ২৪ পরগণায় সবথেকে বেশি আঘাত হানতে পারে বলে তারা আশংকা করছেন।
এছাড়াও ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়তে পারে উত্তর ২৪ পরগণা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং কলকাতা।
তিনি আহ্বান জানিয়েছেন যাদের পাকা বাড়ি আছে আগামী কাল বেলা ১১টার পর থেকে তারা যেন বাড়িতে থাকেন এবং পরশু সকাল অবধি বাড়ি থেকে বের না হন।
কোভিড ১৯ প্রাদুর্ভাবের কথা মাথায় রেখে সাইক্লোন শেল্টারে সামাজিক দূরত্ব বিধি মানার এবং হাত ধোয়ার ব্যবস্থা মানার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা ব্যানার্জি।
এই ভিডিওটিতে স্যাটেলাইট থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ‘ঘূর্ণিঝড় আম্পান’ এর সরাসরি অবস্থান দেখতে পাচ্ছেন।
আজ বিকাল বা সন্ধার মধ্যে ঘূর্ণিঝড় আম্পান সুন্দরবনের কাছ দিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৮৫ কিমির মধ্যে বর্তমানে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ২০০ কিমি, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২২০ কিমি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে উপকূলীয় অঞ্চলে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১০ ফুটের বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমকালে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও চট্টগ্রাম জেলা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিসহ ঘণ্টায় ১৪০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
#Amphan #Cyclone Amphan live Update #cyclone #Cyclone Amphan #ঘূণিঝড় আম্ফান #ঘূর্ণিঝড় #ঘূণিঘড় আম্ফান লাইভ আপডেট #Cyclone Amphan Live
সুপার সাইক্লোন আম্পান সম্পর্কে সর্বশেষ যা জানা যাচ্ছে
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় আম্পান বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের দিকে ছুটে আসছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের রাত ৯ টার বুলেটিন অনুযায়ী সুপার সাইক্লোন আম্পান উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে।
আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বুধবার ২০ মে ২০২০ বিকাল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে সুন্দরবনের পাশ দিয়ে এটি পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
সেসময় ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের ৮৫ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ২২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে বলে জানানো হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত বহাল রাখা হয়েছে। তবে বুধবার সকালে মহাবিপদসঙ্কেত দেয়া হতে পারে।
উপকূলীয় জেলাগুলো থেকে মানুষজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়ার কাজ চলছে। বাংলাদেশ সময় রাত দশটা পর্যন্ত প্রায় ৪ লাখ ৫৩ হাজার মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে। সরকার বিশ লাখ মানুষকে ১২,০৭৮টি আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেবার লক্ষ্যে কাজ করছে।
মানুষ যেহেতু শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চায়, তাই রাত বারোটার পর আরও মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়া সম্ভব হবে বলে কর্মকর্তারা আশা করছেন।
বাংলাদেশ নৌবাহিনী জানাচ্ছে জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় চট্টগ্রাম, খুলনা ও মংলা নৌঅঞ্চলে নৌবাহিনীর ২৫টি জাহাজ প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে কয়েক লক্ষ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে বলে সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে।
জাতীয় ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবেলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। আশংকা করা হচ্ছে সবচেয়ে বড় আঘাত আসতে পারে দক্ষিণ ২৪ পরগণা ও পূর্ব মেদিনীপুরে।
আম্পানে ব্যাপক জলোচ্ছ্বাস ও বন্যা পরিস্থিতির আশংকা
ভারতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের হিসাব অনুযায়ী দক্ষিণ ২৪ পরগণার আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে সরিয়ে নেয়া হয়েছে এলাকার দুই লাখ মানুষকে।
ভারতের আবহাওয়া বিভাগের পশ্চিমবঙ্গের আঞ্চলিক দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী বাপক জলোচ্ছ্বাস হতে পারে এবং ঢেউয়ের উচ্চতা ৪ থেকে ৫ মিটার হতে পারে এবং ১১ বছর আগে আইলার সময় যে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল এবারেও তেমনটা হতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে ।
সুন্দরবন ঘেঁষেই উপকূলে আছড়ে পড়বে আম্পান
ভারতের আবহাওয়া বিভাগ তাদের সবশেষ পূর্বাভাসে জানিয়েছে, সুপার সাইক্লোন আম্পান সুন্দরবন বা তার খুব কাছ ঘেঁষেই উপকূলে আছড়ে পড়বে।মঙ্গলবার বিকেলে টুইট করে তারা আরও জানায়, ২০শে মে বুধবার বিকেল থেকে সন্ধ্যার মধ্যেই এই 'ল্যান্ডফল' ঘটবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সুন্দরবনের মোটামুটি এক তৃতীয়াংশ ভারতের দিকে, আর বাকি দুই তৃতীয়াংশ বাংলাদেশের ভূখন্ডে। ফলে দুই দেশের সীমান্তের কাছাকাছি কোনও এলাকা দিয়েই এই ঘূর্ণিঝড়টিআঘাত হানবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
উপকূলে আছড়ে পড়ার সময় এর হাওয়ার বেগ হবে ঘন্টায় ১৫৫ থেকে ১৬৫ কিলোমিটার – পরে যার তীব্রতা বেড়ে ঘন্টায় ১৮৫ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে।
বাংলাদেশের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে সুপার সাইক্লোন আম্পান
সুপার সাইক্লোন আম্পান আগামীকাল বুধবার সন্ধ্যা নাগাদ বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানতে পারে।মানুষজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেবার কাজ চলছে।
ভিডিওতে দেখুন বাংলাদেশে উপকূলীয় জেলাগুলোর চিত্র।
এবারের ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলা 'ভীষণ চ্যালেঞ্জিং'
সরকারের ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির অপারেশন বিভাগের পরিচালক নূর ইসলাম খান বিবিসি বাংলার কাদির কল্লোলকে বলেছেন, আশ্রয় কেন্দ্রে মানুষকে নেয়া এবং সেখানে নেয়ার পর সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করা কতটা সম্ভব হবে তা নিয়ে তাদেরই সন্দেহ রয়েছে।এইবার আমাদের কাছে খুবই কঠিন, কারণ করোনা সংক্রান্ত কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে তাদের আনা, শেল্টারে নিয়ে সেখানে রাখা এবং ব্যবস্থাপনা করা কঠিন হবে। আগে যেমন জোরাজুরি করতে পারতো, বৃদ্ধদের কোলে করে নিয়ে আসতে পারতো, ধরে নিয়ে আসতো - সেটা এবার হবে না হয়তো। কিন্তু আন্তরিকতার কোন ঘাটতি নেই। from নূর ইসলাম খান ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির অপারেশন বিভাগের পরিচালকএইবার আমাদের কাছে খুবই কঠিন, কারণ করোনা সংক্রান্ত কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে তাদের আনা, শেল্টারে নিয়ে সেখানে রাখা এবং ব্যবস্থাপনা করা কঠিন হবে। আগে যেমন জোরাজুরি করতে পারতো, বৃদ্ধদের কোলে করে নিয়ে আসতে পারতো, ধরে নিয়ে আসতো - সেটা এবার হবে না হয়তো। কিন্তু আন্তরিকতার কোন ঘাটতি নেই।
নূর ইসলাম খান
ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির অপারেশন বিভাগের পরিচালক
তিনি বলছেন যে মানুষরা আসবে, তাদের মধ্যে দুই-একজন করোনা আক্রান্ত থাকতেও পারে। সেরকম হলে তাদের ঠিকমতো পরীক্ষা করা, তাপমাত্রা দেখা - এই বিষয়গুলো তাদের কাছে ''ভীষণ চ্যালেঞ্জিং'' হয়ে দাঁড়াবে।
ঘূর্ণিঝড় আম্পান এখন কোথায় অবস্থান করছে
পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ’আম্পান’ উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে একই এলাকায় অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।আবহাওয়া অধিদপ্তর তাদের সর্বশেষ বুলেটিনে জানিয়েছে এটি আজ বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৮৫ কি.মি.দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৪০ কি.মি.দক্ষিণপশ্চিমে, মংলাসমুদ্রবন্দর থেকে ৬৭০ কি.মি.দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৬৬৫ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।
আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আম্পান খুলনা ও চট্টগ্রামের মধ্যবর্তী অঞ্চল দিয়ে ২০শে মে ২০২০ বিকাল/সন্ধ্যার মধ্যে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে ।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৮৫ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ২০০ কি.মি. যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২২০ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
জানানো হয়েছে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে অতিসত্ত্বর নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’পরবর্তী জরুরি উদ্ধার, ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ২৫টি জাহাজ, মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট ও হেলিকপ্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে আইএসপিআর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।
বাংলাদেশ নৌবাহিনী যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় চট্টগ্রাম, খুলনা ও মংলা নৌঅঞ্চলে নৌবাহিনীর ২৫টি জাহাজ প্রস্তুত রেখেছে বলে জানিয়েছে।
সেইসাথে খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুরসহ উপকূলীয় দূর্গত এলাকাগুলোতে মোতায়েনের জন্য নৌ কন্টিনজেন্ট প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
পরিস্থিতি বিবেচনায় দুর্গত এলাকাগুলোতে জরুরি চিকিৎসা সহায়তার জন্য বিশেষ মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশে বিশ লাখ মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়ার কাজ চলছে
বাংলাদেশে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ড. এনামুর রহমান বলেছেন তেরটি উপকূলীয় জেলার বিশ লাখ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়ার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে।বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেছেন আজ রাত ৮টার মধ্যে এই বিশ লাখ মানুষকে ১২ হাজার সাইক্লোন শেল্টারে সরিয়ে নিয়ে যাবার কাজ সরকার শুরু করেছে।
তবে অন্যান্য কর্মকতারা বলছেন এখনও পর্যন্ত হাজার পাঁচেক মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়া সম্ভব হয়েছে।
বুধবার সকাল থেকে সকলকে ঘরে থাকার নির্দেশ মমতা বানার্জির
ভারতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি কিছুক্ষণ আগে শেষ হওয়া সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন ঘূর্ণিঝড় আম্পান দক্ষিণ ২৪ পরগণায় সবথেকে বেশি আঘাত হানতে পারে বলে তারা আশংকা করছেন।
এছাড়াও ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়তে পারে উত্তর ২৪ পরগণা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং কলকাতা।
তিনি আহ্বান জানিয়েছেন যাদের পাকা বাড়ি আছে আগামী কাল বেলা ১১টার পর থেকে তারা যেন বাড়িতে থাকেন এবং পরশু সকাল অবধি বাড়ি থেকে বের না হন।
কোভিড ১৯ প্রাদুর্ভাবের কথা মাথায় রেখে সাইক্লোন শেল্টারে সামাজিক দূরত্ব বিধি মানার এবং হাত ধোয়ার ব্যবস্থা মানার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা ব্যানার্জি।
No comments:
Post a Comment